Tuesday, January 2, 2018

জলে-জঙ্গলে(প্রথম পর্ব)

পঁচিশে ডিসেম্বর যে সোমবার সেটা খেয়াল হলো ডিসেম্বরের দশ তারিখ নাগাদ। লাস্ট বেড়াতে গেছি সেইই লখনৌ মানে হলো গিয়ে অগাস্ট মাসে। মন পালাই পালাই করছে। সৌরভটার মাথার পোকাও খানিকটা আমার মতোই উড়ুক্কু অতএব শুঁড়ির সাক্ষী মাতাল। পঁচিশের ছুটিতে বুকিং নেই কিচ্ছু নেই কিন্তু বেড়াতে যাবোই। এবার কথা হলো কোথায় যাবো? পালামৌ যাওয়া হয়নি, সেটা যাওয়া যায়, এছাড়া কাছাকাছির মধ্যে পুরুলিয়া যাওয়া যায়, চাঁদিপুর যাওয়া যায়। আর? যাই হোক কোথাও একটা যাবো ভেবে আরো এক সপ্তা পার। কিছুই জায়গা ঠিক নাই,কোথায় যাবো তাও জানিনা খালি জানি যাবো। আঠারো, মানে সোমবার, অফিস করতে করতে হঠাৎ মনে হলো মানস বা শিলং এর ডাউকি/ লিভিংরুট ব্রিজ টা ঘুরে আসা যাক নাকি? সৌরভকে অফিসের ফাঁকে ফোন, ওব্বাবা ফেরার টিকিট দেখি এগারো তলার বাসিন্দা! সৌরভ বলল দার্জিলিং যাবি? তেনার সাড়ে ছয়। আচ্ছা তাহলে বেতলা বা রাঁচী বা চাঁদিপুর বা পুরুলিয়া এই চারটের একটায় যাবো।

শুক্রবার দুপুর বেলা দুজনে ফাইনাল করলাম , চাঁদিপুরই যাই চল।

শুক্রবার বিকেলে ফাইনাল হলো আমরা দুজনেই যাচ্ছি আর কেউ না (একবার কথা হয়েছিলো সকালে সৌরভের কোনো এক বন্ধু যেতে পারে) এবং গাড়িতে না ট্রেনে, আনরিজার্ভড কম্পার্টমেন্টে।

শুক্রবার সাতটায় সৌরভ তিনটে লিংক দিলো ফেসবুকে, দেবাশিষ বাবু বলে এক ভদ্রলোক ভিতরকণিকার একটা বিচ গহীরমাথা সম্পর্কে জানিয়েছেন। লিংক পড়ে কনফার্মড আমরা এখানেই যাচ্ছি ব্যাস। এ পুরো মনের মতো জায়গা। বেশ কথা। সার্চ করতে গিয়ে দেখলাম একটা ঘর একদিনের জন্য ফাঁকা আছে বটে। দুজনের কথা বার্তা এবং বুকিং কনফার্মড, সাড়ে দশটায় সৌরভ গিয়ে প্রিন্টাউট। বের করে আনলো। এখনো জানিনা কাল কোথায় থাকবো।

ধৌলি ছটায় ছাড়ে, টিকিট কাটতে হবে সুতরাং পাঁচটায় অন্তত পৌঁছতেই হবে। কাল ওই সব উত্তেজনায় সন্ধ্যেবেলা আর ব্যাগ গোছানো হয়নি, রাতে ব্যাগ গুছিয়ে শুতে শুতেই ওঠার সময় হয়ে গেলো। হাওড়া স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে আলোচনা করছি, 'কিরে কোথাকার টিকিট কাটবো? ভদ্রক না কটক?' 'আচ্ছা ভদ্রকই কাটা যাক'।

অসংরক্ষিত কামরায় আগে চড়িনি। খুব ভয়ানক কিছু হবে এমন ধারনাই ছিলো, তাও দাঁড়াতে পেয়ে গেলাম দেখি। ট্রেন ছাড়লো, ক্রমে গুঁতোগুঁতি বাড়লো একটু পরে সৌরভ বিড়বিড় করে বলল দেখি, ওর পাশের লোকটা যে নাকি এতোক্ষণ নাক খুঁটছিলো সে ওর সামনের হ্যান্ডেলটা ধরে দাঁড়িয়েছে আয়েশ করে, ফলে ওকে নিজের পায়ের উপর ভরসা করেই দাঁড়াতে হচ্ছে। একটু পরে ওই থিকথিকে ভীড়ের মধ্যেই অদ্ভুত কায়দায় চপ সিঙ্গারা বেচতে শুরু করলো। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যাগে, আর ব্যাগ হলো গিয়ে তাকে। কিন্তু কাউকে বার বার ফিরিয়ে দেওয়া কি ঠিক? একবার খাইনি, দুবারের বার? বা তিনবারের বার? ভীষ্ম কি অম্বাকে ফিরিয়ে দিয়ে ভালো করেছিলো? সুতরাং আমরাও এক প্লেট নিয়েই নিলাম, দুখানা ভেজিটেবল চপ আর এক খানা সিঙ্গারা।

বাস্তায় এসে আমাদের সামনের দুটো সিট ফাঁকা হলো, ভদ্রক আরো ঘন্টা দেড়েক। চপ শিঙাড়া, জল সব খাওয়া শেষ, বসার জায়গা পেয়েছি আর কি চাই, সুতরাং চোখ দুটোকে একটু আরাম কর বাবা বলাই যায়। কিছুক্ষন পর উঠে শুনলাম আমি নাকি পাশে একবার দাঙ্গা লেগে যাওয়ার উপক্রমেও উঠিনি দেখে সৌরভ একটু চিন্তায় পড়ে গেছিলো, সকাল সকাল চপ খেয়ে মৃত শিরোনামটা কি খুব সম্মানজনক মরা হ্যাঁ?

অসংরক্ষিত কামরা থেকে নামাটাই একটা অ্যাডভেঞ্চার। দরজা অব্দি টাইট ফিট, তবু চপ শিঙারা গলেছে মানে আমরাও গলতে পারবো আশা নিয়ে যাচ্ছি। "এক মহিলা চেঁচালেন একটু সোজা হয়ে দাঁড়ান, বেরোবো তো নাকি?"

- "নিন সোজা হয়ে দাঁড়ালাম। বেরোন দেখি"।

ভদ্রমহিলার মুখখানা দেখার সাধ হয়েছিলো ওই সময়। যা হোক অদৃশ্য শিং দিয়ে পথ ফাঁক করে নেমেও গেলাম। পরিচ্ছন্ন, ছোট স্টেশন। স্টেশন রোডটা আর পাঁচটা মফস্বলের স্টেশন রোডের মতোই, খালি, খোলা নর্দমা বা পাঁকের পাহাড় নেই, গিজগিজে ভীড়ও নেই। এখান থেকে অটো ধরে বাইপাস গিয়ে বাস ধরে চাঁদবালী বা ট্রেকারে করে চাঁদবালী। তা ট্রেকার ভাড়া খুব বেশী না হওয়ায় আমরা চা বিস্কুট খেয়ে ট্রেকারে জুত করে বসে কেক খাচ্ছি। লোক হলেই ট্রেকার ছাড়বে। ক্রমে সব কেক শেষ হয়ে গেলো লোক আর এলো না কেউ। নেমে যাবো, বসে বসে কেক খেয়ে নেমে যাওয়াটা খুব ভালো দেখাবে না অবশ্য। লোকটা আশ্বাস দিলো হবে লোক হবে। বলতে বলতে সত্যিই লোক হতে লাগলো, আর এতো হতে লাগলো সেটাও বেশ চাপের হয়ে দাঁড়ালো। ড্রাইভারের পাশে এক খানা সিট কিন্তু দুই সিটের মাঝে একটা আসন পাতা। ওটা একটু চাপের হয়ে যাবে ভেবে আমরা সামনে বসিনি। ম্যাজিক গাড়ির মাঝের খোপে যে চার চার আটজন বসাবে কি করে জানবো! পিছনে আরো চার। বেশ বেশ।

গাড়ি ছাড়লো, 'ওই আসন তলে' থেকে সহসা গান বেজে উঠলো। উড়িয়া গান, গানে বলছে যেন মনে হলো, বিড়ি নিলি মিছি মিছি। মিছি মিছি কেন কেউ বিড়ি চাইবে কে জানে! এরপরে একটা গান শুনতে পেলাম মাটি মাটি করে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে স্লোগান গান হয়ে এখানে আসছে!! কি জানি বাওয়া কত কিছুই হয়। এরপরেই বোঝা গেলো গানের মহিমা। রাস্তা অত্যন্ত খারাপ, কাজ চলছে, কথা বলতে গিয়ে মুখ ফাঁক করলেই, ঢোঁক গেলার সাথে কাদা গোলা গেলা হয়ে যাচ্ছে। মোবাইল বের করে টাওয়ার দেখতে গেলাম দেখি মোবাইলের স্ক্রীনটা ধূলাগড় হয়ে গেলো।

মানুষ ও ধুলো বোঝাই রাস্তা বিপজ্জনক ভাবে হঠাৎ খাড়া ব্রিজে ওঠার সময় ভাবছি এই কুমড়ো গড়ান গড়ালাম বুঝি।

খানিক পরে সব সয়ে যায়, যে কোনো কষ্ট বা আনন্দ। তাই জন্যেই বোধহয় নিরবচ্ছিন্ন কষ্টে বা আনন্দে যারা থাকে তাদের দুটোর একটা বোধও তৈরী হয় না। বাইরের দিকে চোখ মেলতেই মন ভালো হয়ে গেলো। ফসল কেটে নেওয়া হয়েছে। মাঠ ফাঁকা, টলটলে জল ভরা পুকুর, নারকেল গাছ দিয়ে ঘেরা। এখনো এখানে পাকা মাথারা ঢুকে পড়েনি তাই তাদের উর্বর বুদ্ধিতে পুকুর পাড়ের গাছ কেটে সিমেন্টের বাঁধ দেয়নি। দুটো বাচ্ছা মেয়ে কি একটা খেতে খেতে পুকুর পাড়ে বসে গল্প করছে, পাশে এঁটো বাসনের স্তুপ। মাজতে এনেছে হয়তো তার আগে দুই বন্ধুর আলাপ চলছে। রোদের তাত আছে বৈকি কিন্তু হাওয়াটাও দিচ্ছে ভালো তাই ভালোই লাগছে রোদটা। চাঁদবালী পৌঁছলাম দুটো বেজে গেছে। ফরেস্ট রেস্ট হাউসটা কোনদিকে? একজন রাস্তা দেখাতে এগিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। একটা থানা সামনে, একজন পুলিশ রোদ পোহাচ্ছে দাঁড়িয়ে। ওনাকেই জিজ্ঞেস করলাম ফরেস্ট রেস্ট হাউস কোথায়? বললেন ওখানে গিয়ে কি করবে আচ্ছা দাঁড়াও একজনের নাম্বার দিচ্ছি ফোন করে কথা বলে নাও। বলে নিজেই ফোন করে দিলেন, উড়িয়া ভাষায় কথাবার্তা থেকে যা বুঝলাম তার নাম বাবনি, আর থানার সামনে একটা পাতলা আর একজন মোটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে । সে বোটওলা। এসে আমাদের বলে কিনা দশ হাজার পড়বে!!

আমাদের তো শুনেই চোয়াল ঝুলে গেছে। বলে কি রে! বললাম দাদা দুজন কলেজ স্টুডেন্ট এসেছি তা দশহাজার টাকা চোখেই দেখিনি কখনো! ডিএফও কে ফোন করা হলো, বুকিং ইনফর্মেশন থেকে। তিনি একজনের নাম্বার দিলেন। সে বলল আচ্ছা আমি আসছি। খানিক পরে বলে তোমরা তো অনেকের সাথে কথা বলে ফেলেছো, আমি জানিনা কি করতে পারি, আচ্ছা দেখছি। আপাতত তোমরা মাইতি লজে গিয়ে তো জায়গা পাও কিনা। বেশ চলো কোথায় মাইতি লজ। বুঝতে পারছিনা এখান থেকে রাজনগর গিয়ে গুপ্তি চলে যাবো কিনা। কারন ফেসবুকের ওই পোস্টে গুপ্তি থেকেই লঞ্চ এর কথা বলা ছিলো। ওটিডিসির অরণ্যনিবাসে ঠিকঠাক ইনফর্মেশন দিলো না কিছুই। সরকারী লঞ্চ ছাড়ে না? মহা মুশকিল তো। এরকম করলে লোক যাবে কি করে রে বাবা। মাইতি লজটাই বা কোথায়? একটা হোটেল তৈরী হচ্ছে টাইপ, সূরজ লজ সেখানে ঢুকে দেখি একতলাটায় কোনে সিসিটিভির নজরদারী চলছে মানে ইয়ে কেউ দেখার নেই যদিও, এদিকে পাশে কল থেকে টপটপ করে জল পড়ছে, রেজিস্টার খাতা একটা টেবিলে পড়ে আছে। মানে টিপিক্যাল লজ কিন্তু সিসিটিভি আছে, পলতা পাতা কিনে ক্যাশমেমো চাওয়ার ব্যাপার আর কি। বাইরে বেরিয়ে আসছি হোটেলের ছেলেটা আসছে দেখি, বললাম ঘর টর আছে? সে দেখালো ঘর একখানা। ঘর দেখে মনে হলো "হোটেল ডিল্যাক্স" নাম হওয়া উচিত ছিলো। যাকগে আমাদের আর কি, বেসিনে না তাকালেই হবে দাঁত মাজার সময়। যাহোক একটা বেডশীট চেয়ে নিলাম। ঢাকা থাক সব কিছু।

ছোট্ট জনপদ। বাস স্ট্যান্ডে মিষ্টির দোকান, সুলভ শৌচাগার ফলের দোকান সবই আছে কিন্তু চোখ বোলালেই বোঝা যায় এটা সেই পুরোনো বছর কুড়ির আগেকার গ্রাম। একটাই ভাতের দোকান বা রেস্টুরেন্ট। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, সস্তাও বেশ। এবার যদি গড়াতে যাই তাহলে আর উঠতে পারবো না, পাশ দিয়ে ব্রাহ্মণী নদী বইছে, ছোট মাছ ধরা নৌকা। শান্ত দুপুর, শীতের রোদ পড়ে আসছে দ্রুত। দু চারখানা দোকানে খোঁজ নিলাম, এখানে মিষ্টি পান খায় না কেউ সব চুন জর্দা দেওয়া কড়ক পান। রাস্তার পাশেই ছোট্ট গ্রাম, সাইকেল ট্রাক বাইক যাচ্ছে একটা দুটো। দূরে একটা ব্রিজ দেখা যাচ্ছে.... টুকটুক করে হাঁটাছি সেদিকেই। আচ্ছা আমাদের দেশের মানুষের সৌন্দর্য বোধ এত কম কেন? এতো জায়গা তবু বাড়ি করেছে এতটুকু জায়গা না ছেড়ে, এক চিলতে বাগান এর জায়গা না রেখে। আসলে আমরা মনের দিক থেকেও খুব গরীব মনে হয়। বট গাছের নীচে একটা বাঁধানো বেদী, চুপ করে বসে দেখছি সূর্য ঢলছে। ব্রিজটা অনেক দূর যাওয়া যাবে না।

সন্ধ্যেবেলা ফের গেলাম পানিবাবুর কাছে, কিছুতেই বলছে না কত লাগবে, কাল কখন আসতে হবে। খালি বলছে হয়ে যাবে আজব তো! সন্ধ্যেবেলা কিছুই করার নেই, স্থানীয় লোকজন চা এর দোকানে ভীড় করেছে এই অব্দি। ব্রিজটা টানছে খুব। অন্ধকার হয়ে গেছে, চাঁদও উঠে গেছে, ব্রাহ্মণী নদীতে কুয়াশা নেমেছে, ব্রিজটা থেকে খুব মায়াবী লাগবে না? একটা সাইকেল আছে পানিবাবুর কাছে, কিন্তু টর্চ নিয়ে সৌরভকে নিয়ে এই রাস্তায় আমি চালাতে পারবো বলে মনে হয়না। অপারেশন এর পর এমনিই একটু দুর্বল হয়ে গেছি। ওই তো একটা বাইক যাচ্ছে, "ও দাদা, নিয়ে যাবে একটু ব্রাহ্মণী অব্দি? "

বাইক এর আওয়াজ ছাপিয়ে, ভাঙা রাস্তায় নাচন কোঁদন উপেক্ষা করে আলাপ চালিয়ে গেলাম, ছেলেটার নাম অশোক, আমাদের বলল জয়নগর ঘাট থেকে বোট নিলে কম পড়বে।

"তোমার চেনা বোটওলা আছে কেউ? নিয়ে চলো না, কথা বলিয়ে দাও একবার?"

ব্রিজটা বেশ লম্বা, ব্রিজ পেরিয়ে ডানদিকের একটা মেঠো রাস্তা ধরলো। বাইক এর আলো শেষ হচ্ছে যেখানে তারপর থেকে একটা জমাট অন্ধকার যেন থাবা মেরে বসে আছে। বাইকের আওয়াজ ছাড়া কোথাও কোনো আওয়াজ নেই, কোনো লোক নেই। ওহ না ভুল বললাম হাওয়ার আওয়াজ আছে। হঠাৎ একটা লোক দেখা গেলো সাইকেলে, অশোক জিজ্ঞেস করলো তাকে কোনো এক বোটওলার কথা। উড়িয়া বাংলার প্রায় কাছাকাছি বলে খানিক বোঝা যায়, খুব স্পষ্ট না হলেও। আরে বাঁ পাশে একটা ঝুপড়ি মতো ঘরও দেখা যাচ্ছে তো। সেখান থেকেও একটা লোক বেরিয়ে এলো। নিজেদের মধ্যে বোট নিয়েই আলোচনা করছে। যা বোঝা গেলো কাল রবিবার বোট পাওয়া মুশকিল তাছাড়া আমরা যাচ্ছি সেই হাওলাকুঠি সেখানে রাতে বোট রাখতে হবে তাই কেউ রাজী না তেমন। ওদিকে ঝুপড়ির আবছা আলোয় অন্ধকারটা চোখ সইতে চারিদিকটা নজর করতে পারা যায়। ফসল কাটা ক্ষেতে কুয়াশা মাখা, দূরে ব্রাহ্মণী নদীর চড়া, আশেপাশে কিছু অপরিচিত লোক। আমাদের শহুরে মধ্যবিত্ত মন যাদের সন্দেহ করছে, আসলে বিনা স্বার্থে কেউ সাহায্য করছে এ জিনিস আমাদের রোজকার জীবন থেকে উবে গেছে কিনা।

লোকটা আমাদের মেন রাস্তা অব্দি ছেড়ে দিলো, একটু এগোলে একটা হনুমান মন্দির।মন্দির ডাঁয়ে রেখে এগোচ্ছি হেঁটে হেঁটে। অটো পাবো কিনা জানিনা, দূর আছে চাঁদবালী। এখানেও রাস্তার কাজ চলছে আলো জ্বেলে। ওই তো একটা অটো। যাক হাঁটতে হবে না।





(ক্রমশ)

2 comments:

  1. কী কাণ্ড। এইটা মারাত্মক বেড়ানো হয়েছে তা শুরু পড়েই টের পাচ্ছি। পরের পর্বগুলো চটপট দাও, প্রদীপ্ত।

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহাহা হ্যাঁ তা হয়েছিলো বটে :D ।

      Delete